সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আরাকান আর্মির পুতে রাখা মাইন বিষ্ফোরনে আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরনকারী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সাহসী সদস্য নায়েক মো. আক্তার হোসেন এর মরদেহ ভোলায় আসার পর জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন ৩৪ বিজিবির এই সদস্য শুক্রবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে ঢাকার সিএমএইচ হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
শনিবার (০১ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ বিজিবির একটি টিম হেলিকপ্টার যোগে ভোলার দৌলতখান উপজেলায় তার নিজ গ্রামে মরদেহ নিয়ে আসে। পরে জানাযা নামাজ শেষে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিহত নায়েক আক্তার হোসেন ভোলার দৌলতখান পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার আব্দুল মান্নান মিয়ার পুত্র। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। জীবদ্দশায় তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
গত ১২ অক্টোবর নায়েক আক্তার পেয়ারাবুনিয়া সীমান্ত এলাকায় টহলরত অবস্থায় মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন।
এরপর তাকে দ্রুত রামু সিএমএইচে নেওয়া হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরদিন হেলিকপ্টারে করে ঢাকা সিএমএইচে নেওয়া হয়। শুক্রবার সকালে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে তার মৃত্যু হয়।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নায়েক আক্তার হোসেনের মৃত্যুতে পুরো বাহিনীতে গভীর শোক নেমে এসেছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম (পিএসসি) বলেন, দেশের সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমরা এক সাহসী সহযোদ্ধাকে হারালাম। নায়েক আক্তার হোসেনের আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। বিজিবির এ কর্মকর্তা শোক প্রকাশ করে আরও বলেন, শহীদ নায়েক আক্তার হোসেন দেশের জন্য আত্মোৎসর্গের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার আত্মার মাগফিরাত ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।




