বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন বলে মনে করছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা। উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন সফর শেষে দেশে ফেরার পর, তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে দলের মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (৬ মে) উন্নত চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরার সময় তাকে হেঁটে প্রবেশ করতে দেখা যায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লন্ডনে চার মাস পরিবারের সদস্যদের সান্নিধ্যে থাকায় তিনি শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে আগের চেয়ে সুস্থ বোধ করছেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ও পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা নতুন করে উজ্জীবিত হয়েছেন। তারা আশা করছেন, বিএনপি প্রধান এবার রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র সংকটে রয়েছে। গণতন্ত্র ফেরাতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব প্রয়োজন। তিনি গণতন্ত্রের অগ্রদূত। বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব অপরিহার্য।”
দলের নেতারা মনে করেন, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা বর্তমান বাস্তবতায় বিএনপিকে পথ দেখাবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, “দলের বিভিন্ন দিবস ও অনুষ্ঠানে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে না পারলেও, তার শারীরিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে তিনি অবশ্যই আমাদের নেতৃত্ব দেবেন। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, গণতন্ত্র উত্তরণ এবং গণতান্ত্রিক পথযাত্রায় তিনি সবসময় আমাদের নেতৃত্বে থাকবেন।”
বিএনপির নেতারা মনে করেন, সভা-সমাবেশে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করবে। তবে, সবকিছুই নির্ভর করছে তার শারীরিক সুস্থতার ওপর।